বলিউডে এক সময়কার অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী মালা সিনহা, যিনি প্রায় দুই দশক ধরে ১২০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বলিউডে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছিলেন, তাঁকে ঘিরে এক বিতর্কিত ঘটনা আজও আলোচিত। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির আড়ালে লুকিয়ে থাকা নানা চাঞ্চল্যকর অধ্যায়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
মালা সিনহা গুরু দত্ত, দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্নার মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে, তখন আয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
একদিন, আয়কর দফতর মালা সিনহার বাড়িতে অভিযান চালায়। চমকপ্রদ তথ্য হিসাবে, তাঁর বাথরুমের দেয়াল থেকে ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় বলিউডে তোলপাড় শুরু হয়। মিডিয়া ও সাধারণ মানুষের কৌতূহল এবং সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি।
বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালে তাঁর দেওয়া একটি আদালত-জবানবন্দি। তিনি দাবি করেন, উদ্ধারকৃত অর্থ দেহব্যবসা থেকে উপার্জিত। এই বক্তব্যে তাঁর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তাঁর কাজের সুযোগ কমতে শুরু করে।
পরবর্তী সময়ে জানা যায়, মালা সিনহার বাবা এবং তাঁর আইনজীবী তাঁকে এমন মিথ্যা বক্তব্য দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তিনি কর ফাঁকির মামলা থেকে বাঁচতে পারেন। বাবার কথায় সায় দিয়ে দেওয়া এই মিথ্যা স্বীকারোক্তি তাঁর কেরিয়ারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
মালা সিনহার এই ঘটনা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের একটি করুণ অধ্যায় নয়, বরং বলিউডের উজ্জ্বল দুনিয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকা নানা জটিলতার একটি উদাহরণ। তাঁর কেরিয়ারের পতন এই জগৎকে আরও গভীরভাবে অনুধাবন করার বার্তা দেয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
