সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশকে যেকোনো সময় হামলার হুমকি দিয়েছেন। তবে এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারতের সেনাপ্রধান এমন কোনো মন্তব্য করেননি। বরং, গত ১৩ জানুয়ারি ভারতের সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে দুই দেশের মধ্যে সার্বিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় ও বাংলাদেশি গণমাধ্যমে এ ধরনের কোনো মন্তব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে দেশীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভি-এর প্রতিবেদন পর্যালোচনায় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর বক্তব্য ছিল সম্পূর্ণ ইতিবাচক।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। কোনো ধরনের শত্রুতা উভয় দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্বাচিত সরকারের অধীনে আরও স্বাভাবিক হবে।”
জেনারেল দ্বিবেদী আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও এ যোগাযোগ অটুট ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যম The Times of India-তেও জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সামরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে এবং যৌথ সামরিক মহড়াও পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে পুনরায় শুরু হবে।
তথ্য যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশকে কোনো ধরনের হুমকি দেননি। ফলে “বাংলাদেশকে যেকোনো সময় হামলার হুমকি” সংক্রান্ত শিরোনামটি একটি ভিত্তিহীন গুজব।
সচেতন পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য বিশ্বাস বা শেয়ার করার আগে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই করুন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
