ভারতে ক্রিকেট সফরের আগে মুসলিম খেলোয়াড়দের ভিসা নিয়ে জটিলতা যেন এক নিয়মিত ঘটনাতে পরিণত হয়েছে। এবার ভুক্তভোগী ইংল্যান্ডের পেসার সাকিব মাহমুদ। দলের অন্য খেলোয়াড়রা ভিসা প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে শেষ করলেও, সাকিবের ভিসা ইস্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
ইংল্যান্ড দল ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের সাদা বলের সিরিজ খেলতে ভারতে যাচ্ছে। শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে ইংল্যান্ড দলের।
তবে ভিসা জটিলতার কারণে এখনও দলের আবুধাবি ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি সাকিব। পাসপোর্ট ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য জমা দেওয়ায় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যেতে পারছেন না।
ইংলিশ পেস আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে সাকিবের ভূমিকা অপরিহার্য। জফরা আর্চার এবং মার্ক উডের সঙ্গে পেস ইউনিটের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি।
গত বছর দ্য হান্ড্রেডের ফাইনালে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছিলেন সাকিব। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি।
ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককলাম এই ইনফর্ম পেসারকে ভারত সফরে মিস করতে চান না। তবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাকিবের ভিসা ইস্যু এখনো অনিশ্চিত, যা দলের প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলছে।
এটি প্রথম নয়। ছয় বছর আগে একই কারণে ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের হয়ে ভারত সফরে যেতে পারেননি সাকিব। এমনকি গত বছর ভিসা জটিলতার কারণে হায়দ্রাবাদ টেস্টে খেলতে পারেননি ইংলিশ স্পিনার শোয়েব বশির। মুসলিম খেলোয়াড়দের ভিসা ইস্যু নিয়ে ভারতের এ ধরনের আচরণ বহু পুরনো।
এদিকে, একই ভারত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক বিতর্কিত দ্বৈত মানদণ্ডের উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
