ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি এক পডকাস্টে প্রকাশ করেছেন যে, ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র তার ভিসা বাতিল করেছিল এবং পরবর্তী ৯ বছর তাকে ভিসা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তার রাজনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে আলোচিত।
২০০২ সালে গুজরাটে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে, যেখানে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়। সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি দাঙ্গা ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেননি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র মোদির ভিসা বাতিল করে এবং তাকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
এই সিদ্ধান্ত মোদির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে ধরা হয়। দাঙ্গায় সায় দেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়। তবে, মোদি তার রাজ্যের নাগরিকদের সুরক্ষা ও সেবায় সচেষ্ট ছিলেন বলে দাবি করেন।
২০১৪ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করে এবং তাকে A-1 ভিসা প্রদান করে, যা সাধারণত রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
পডকাস্টে মোদি বলেন, ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের পর তিনি বলেছিলেন, “একদিন পৃথিবীর মানুষ ভারতীয় ভিসার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়াবে।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০২5 সালে এসে সেটি বাস্তব হতে দেখছেন।
মোদি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ নিয়ে মন্তব্য না করলেও গুজরাট দাঙ্গার অভিজ্ঞতার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, গোধরা ট্র্যাজেডির পর শোকাবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে তাকে দৃঢ় থাকতে হয়েছিল এবং রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর ছিলেন।
মোদি তার জীবনের এই অধ্যায়কে সাফল্যের গল্পে পরিণত করেছেন। দাঙ্গা-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি ভারতের শীর্ষ নেতা হিসেবে বিশ্বমঞ্চে নিজের অবস্থান দৃঢ় করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
