সাবেক ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের অবস্থান ও কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য উন্মোচনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন সাংবাদিক নাজমুস সাকিব। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রকাশ করেছেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে হারুনের ভূমিকা ও তার বর্তমান অবস্থান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে হারুন অর রশিদ পলাতক। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাজমুস সাকিব জানান, হারুন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে অবস্থান করছেন, যেখানে তার স্ত্রী ও সন্তানও আছেন।
নাজমুস সাকিব বলেন, “হারুনের সাক্ষাৎকার নিতে আমাকে কঠিন শর্ত দেওয়া হয়েছিল। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কঠিন প্রশ্ন করলে ভবিষ্যতে আর কোনো সাক্ষাৎকার দেবেন না। তার থেকে তথ্য বের করতে আমি সফট প্রশ্ন করেছি। দর্শকরা এটা ভুল বুঝেছেন।”
সাকিব আরও বলেন, “হারুন এখন নিজেকে কাকরাইল মসজিদের ইমাম হিসেবে পরিচয় দিলেও, সবাই জানে তিনিই ছাত্রদের ওপর গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণ সেই অভিযোগকে সমর্থন করে।”
হারুন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী। তার স্ত্রী ২০০৬ সালে ডিভি লটারি পেয়ে মার্কিন নাগরিকত্ব পান। সেই সূত্রে তারা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করতেন।
নাজমুস সাকিবের ভাষ্যে, “একজন অপরাধীর কাছ থেকে সত্য উদঘাটনের জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া সাংবাদিকতার অংশ। তবে হারুন সাক্ষাৎকার শেষে আমার নাম্বার ব্লক করে দেন এবং তার ফোন নাম্বার পরিবর্তন করেন।”
সাংবাদিক নাজমুস সাকিব মনে করেন, হারুনকে রাজ সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করা গেলে অনেক গোপন তথ্য প্রকাশ পাবে। তিনি বলেন, “হারুন হাসিনার অপরাধের কাছ থেকে প্রত্যক্ষদর্শী। তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আর কারও কাছে নেই।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
