সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তার স্ত্রী আসমা আল-আসাদ, যিনি ব্রিটিশ ও সিরিয়ান নাগরিক, মস্কোতে বসবাস করছিলেন, এখন বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন এবং লন্ডনে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তিনি রাশিয়ার আদালতে এ আবেদন জমা দিয়েছেন এবং মস্কো ত্যাগের জন্য বিশেষ অনুমতি চেয়েছেন।
আসমা আল-আসাদ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে বড় হন। ২০০০ সালে তিনি সিরিয়া যান এবং বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বর্তমানে তিনি মস্কোতে নিজের জীবন নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, রাশিয়া বাশার আল-আসাদকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলেও, তাকে বেশ কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রাখা হয়েছে। মস্কো ত্যাগের অনুমতি না থাকায় তার সম্পদ এবং অর্থও জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২৭০ কেজি সোনা, ২ বিলিয়ন ডলার এবং ১৮টি অ্যাপার্টমেন্ট।
বাশারের ভাই মাহের আল-আসাদও রাশিয়ায় আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন, তবে সেটি এখনও পর্যালোচনাধীন।
ডিসেম্বর মাসে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। যদিও এইচটিএসকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সম্প্রতি তারা এই গোষ্ঠীর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির বিরুদ্ধে ঘোষণা করা ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে।
সিরিয়া ত্যাগের পর, বাশার আল-আসাদ একটি বিবৃতিতে জানান যে, তার দেশত্যাগ পরিকল্পিত ছিল না এবং রাশিয়ার অনুরোধে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, সিরিয়া বর্তমানে সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাশার আল-আসাদ ২০০০ সালে তার পিতা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন এবং প্রায় দুই দশক শাসন করেন। তবে, সাম্প্রতিক বিদ্রোহের ফলে তার শাসনের অবসান ঘটেছে। এখন, সিরিয়ার পর, স্ত্রীকে হারানোর শঙ্কা কি তাকে আরও বড় বিপদে ফেলবে?
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
