থাইল্যান্ড ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সুখবর। এখন মাত্র ৩,৫০০ টাকায় থাই ভিসার আবেদন করা যাবে। ফলে আগের মতো ভিসা সেন্টার বা এজেন্সি ব্যবহারের জন্য বাড়তি ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা ব্যয়ের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যেই ই-ভিসা সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকার রয়েল থাই দূতাবাস।
থাই দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্টধারীরা ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ই-ভিসা সরাসরি ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।
ই-ভিসার আবেদন করতে হলে www.thaievisa.go.th ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ ও ফর্ম আপলোড করতে হবে। নতুন ব্যবস্থায় পাসপোর্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি আবেদনকারীদের অবশ্যই ব্যাংকে ন্যূনতম ৬০,০০০ টাকা জমা দেখাতে হবে। গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে, যাতে নিয়মিত লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
আবেদনের ১০ দিনের মধ্যেই ভিসার স্ট্যাটাস ইমেইলে জানানো হবে। ভিসা ইস্যু হলে সেটি ইমেইলে পাঠানো হবে, যা প্রিন্ট করে থাইল্যান্ডে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশনে দেখাতে হবে।
ই-ভিসার ফি আপাতত সরাসরি ওয়েবসাইটে জমা দেওয়া যাবে না। আবেদনকারীকে www.combank.net.bd/thaivisa ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফি জমা দিতে হবে। পেমেন্টের রসিদ (স্লিপ) স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে হবে। নগদ বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা নেওয়া হবে না।
দূতাবাস জানায়, দৈনিক সর্বোচ্চ ৪০০টি ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হবে। ভিসা ফি জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বর্তমানে চালু থাকা চারটি ভিসা সেন্টার আগামী ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে আবেদন নেওয়া বন্ধ করে দেবে।
ভিসা আবেদন অবশ্যই ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে করতে হবে, যাতে প্রয়োজনে দূতাবাস যোগাযোগ করতে পারে।নতুন এ ব্যবস্থা বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী ভিসা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
