পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কমিশন গঠন করার পরিকল্পনা থেকে সরকার সরে এসেছে। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে, ফলে আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকোর্টকে এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। এর আগে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ তদন্তে কমিশন গঠনের পরিকল্পনা ছিল, তবে এই বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকোর্টে জানিয়েছে।
৫ আগস্টের পর, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে সরকার আন্দোলন শুরু করেছিল। এর আগে, ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টকে জানায় যে, তারা কমিশন গঠন করেছে, তবে পরে সেই বক্তব্য থেকে সরে আসে।
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় প্রথমে লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়, পরে সেগুলো নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এছাড়া, বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এই মামলার বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।
মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীরও দণ্ড হয়। সাজা ভোগকালীন পিন্টু অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রক্তক্ষয়ী এই বিদ্রোহের পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নাম পরিবর্তন করা হয়, এবং বর্তমানে এই বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
