কাতার শিগগিরই সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সিরিয়ায় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “উপসাগরীয় দেশটি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্রে আমাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করবে।” এই উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহীদের চাপে দেশ ত্যাগ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ আল-বশির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মোহাম্মদ আল-বশির সিরিয়ায় আশ্রিত শরণার্থীদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতালির পত্রিকা করিয়ের ডেলা সেরা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সিরিয়ার সব সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। আমরা একটি মুক্ত ও গৌরবময় সিরিয়া গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই বিদেশে থাকা সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান—আপনারা দেশে ফিরে আসুন।”
দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ফলে সিরিয়ার লাখো মানুষ তুরস্ক, লেবানন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করছেন। শরণার্থীরাও স্বদেশে ফিরতে শুরু করেছেন। সীমান্ত পার হওয়া অনেক মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরতে দেখা গেছে।
নতুন সরকারের প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সিরিয়া তার হারানো স্থিতিশীলতা ও মর্যাদা ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
