সিরিয়ার কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে অমানবিকতার এক হৃদয়বিদারক চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। বিদ্রোহীরা যখন কারাগারটি দখলে নেয়, তখন তাদের চোখে পড়ে ভেতরে বন্দি থাকা শত শত নারী। বছরের পর বছর ধরে এসব নারী কারাগারের অন্ধকার সেলে অত্যাচার, নির্যাতন এবং অসম্মানজনক আচরণের শিকার হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুসারে, অনেক নারী কিশোরী বয়সে আটক হয়েছিলেন এবং দশ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি ছিলেন। বন্দিদশায় সেনাদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের ফলে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অনেক শিশু। এসব শিশুরা কোনো পরিচয় ছাড়াই মায়ের সঙ্গে বন্দি জীবন কাটিয়ে আসছিল।
বন্দি নারীদের মধ্যে অনেকেই মুক্তির মুহূর্তটি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তাদের কারাগারে পরিচয় ছিল শুধু কয়েদি নম্বর। তাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে।
বিদ্রোহীদের অভিযানে মুক্ত হওয়া ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি বন্দির মধ্যে এই নারীরা এবং তাদের সন্তানরা এক নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছেন। তবে, এই দুঃসহ অতীতের ক্ষত কি কখনো মুছে ফেলা সম্ভব হবে?
সিরিয়ার এই ঘটনা আবারও যুদ্ধ ও সংঘাতের মানবিক মূল্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশ্বনেতাদের উচিত হবে এমন নির্মমতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, যাতে আর কোনো মা-শিশুকে এমন অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হতে না হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
