সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে বেশিরভাগ অঞ্চল। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ট্যাংক সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই পদক্ষেপকে “প্রতিরক্ষা সীমান্ত সুরক্ষার অংশ” বলে অভিহিত করেছেন।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম মারিভ জানিয়েছে, সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বা বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েলি সীমান্তের কাছাকাছি আসা ঠেকানোর উদ্দেশ্যেই এই সামরিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রবাসবিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই চিকলি বলেছেন, ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতির সীমারেখা ধরে নতুন প্রতিরক্ষা সীমান্ত গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা গোলান মালভূমি থেকে হারমন পর্বত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল সিরিয়ার গোলান মালভূমির বড় অংশ দখল করে এবং ১৯৮১ সালে পুরো অঞ্চলটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে, নেতানিয়াহু জাতিসংঘের টহল দেওয়া বাফার জোনের দখল নিতে ইসরায়েলি বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার ভাষায়, “আমরা কোনো শত্রু শক্তিকে আমাদের সীমান্তের কাছে প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না।”
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আল মানার জানিয়েছে, রোববার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ সিরিয়ায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের মতে, দখলদার বাহিনী সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কুনেইত্রা এলাকায় বিপুলসংখ্যক সেনা জড়ো করেছে।
এই সামরিক পদক্ষেপকে সিরিয়ায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মাঝেও একটি উল্লেখযোগ্য মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
