বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করবেন? প্রবীণদের নিয়ে যাত্রা করতে হলে উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রয়োজন। বিশেষ করে যদি বিমানযাত্রা করতে হয়।
বয়স্কদের নিয়ে বিমান ভ্রমণের সময়ে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
১) সম্ভব হলে এমন টিকিট বুক করুন যাতে এক যাত্রাতেই গন্তব্যে পৌঁছনো যায়। ভেঙে যাত্রার ক্ষেত্রে মাঝে অন্য বিমান ধরতে হয়। তাতে বিস্তর হাঁটাহাঁটি করতে হয়। বয়স্কদের তাতে সমস্যা হতে পারে।
২) বিমানে গেলে প্রবীণ নাগরিকেরা কিছু বিশেষ সুবিধা পান। সে ক্ষেত্রে হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা আছে কি না দেখুন। বিমানে বিশেষ আসনও থাকে। বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময়ে এবং বিমানে উঠেই নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে দিতে হবে।
৩) বিমানবন্দরে সময়ের অনেক আগেই পৌঁছে যান। চেক-ইন, সিকিউরিটি ইত্যাদির জন্য সময় লাগে। বয়স্কদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিতে হলে তার অনুরোধও করতে হয়। তাই যাতে শেষ মুহূর্তে হুড়োহুড়ি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪) পোশাকের দিকেও নজর রাখতে হবে। নরম ও আরামদায়ক পোশাকই পরান বয়স্ক অভিভাবকদের। দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হলে তেমন পোশাকই দরকার। জুতোও আরামদায়কই পরতে হবে, যাতে হাঁটতে সমস্যা না হয়।
৫) বয়স্কেরা যে সব ওষুধপত্র খান, সেগুলি আলাদা করে হাত ব্যাগে নিতে হবে। বিমানযাত্রা যত ক্ষণেরই হোক না কেন, ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া হার্টের রোগী হলে জরুরি অবস্থার জন্য যে সব ওষুধ প্রয়োজন, তা সঙ্গে রাখতেই হবে। ইনহেলার অবশ্যই রাখবেন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যবিমার কাগজপত্র, প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।
৬) বিমানে বেশি চা বা কফি না খাওয়াই ভাল। যাত্রার সময়ে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে, যাতে শরীর আর্দ্র থাকে।
৭) বিমানযাত্রার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হার্টের রোগী বা হাইপারটেনশনের রোগীরা কী ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে যাবেন, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।
বয়স্করা যেসব ওষুধপত্র খান, সেগুলো আলাদা করে হাত ব্যাগে নিতে হবে। বিমানযাত্রা যতক্ষণেরই হোক না কেন, ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
