বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনা সতর্কতার মধ্যে দিয়েই অনাড়ম্বর ঈদ উল ফিতর উদযাপন করলো ওমান। গত বারের ন্যায় এবছরও করোনা মহামারির কারণে একেবারেই সাদাসিধে ভাবেই উদযাপন হলো এই ঈদ উৎসব। আজ (১৩-মে) দেশটির রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে দেশটিতে কোনো জমায়েত করে নামাজ পড়ার অনুমতি নেই।
আলিঙ্গন করা বা পারিবারিক, সামাজিক বা সাংগঠনিক সমাবেশেরও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই দেশটির সকল নাগরিক প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না বের হবার নির্দেশ দিয়েছে আরওপি। একইসাথে সকলকে ঈদ উদযাপনে সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশটির সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মসজিদের বাইরে বা অন্য কোনো প্রাঙ্গণে ঈদের জামাতের অনুমতি না থাকায় সবাই যার যার ঘরে ঈদের নামাজ আদায় করেছে। একইসাথে চলমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ মে পর্যন্ত চলমান কারফিউ অব্যাহত থাকবে।
নাগরিক ও প্রবাসীদের ওমান সুপ্রিম কমিটির সকল নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির সকল স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরী যানবাহন, বিদ্যুৎ ও জলসেবার জন্য জরুরি পরিষেবা, নাইট শিফট চলাকালীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে কর্মরত কর্মীরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে কমিটি।
এদিকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। স্থানীয় মসজিদগুলোতে জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বল্প পরিসরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মালয়েশিয়ায় নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাসের থাবায় এ বছরও ঈদের আনন্দে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে প্রবাসীদের মনে। চলমান লকডাউনের মধ্যেও শর্তসাপেক্ষে ঈদের নামাজের জামাতের অনুমতি দেয় মালয়েশিয়া সরকার। মাস্ক পরে আর নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীরা ঈদের নামাজ আদায় করে ও কুশলাদি বিনিময় করে ঈদের দিনকে আনন্দময় করার চেষ্টা করেন। তবে এ বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ভাটা পড়েছিল ঈদের কোলাকুলিতে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
