ওমানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকরা। দেশটিতে শুধু চিকিৎসা ব্যয়েই নয়, বিভিন্ন হারে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি ফিও। বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ফি অগ্রিম প্রদান করতে হয়। একইসাথে ফি-এর পরিমাণ ২০০ ওমানি রিয়াল থেকে বেড়ে ২০০০ ওমানি রিয়ালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ওমানের শ্রমিক-শ্রেণীর প্রবাসীরা।
প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য এই খরচ বৃদ্ধি অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন ওমান প্রবাসীদের ক্ষেত্রে। বিশেষত শ্রমিক পর্যায়ে কর্মরত নাগরিকদের জন্য এই ব্যয় বহন করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীমা ব্যয়বহুল হওয়ায় দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিকের করোনা বীমা নেই বলে জানাগেছে সূত্রে।
বর্তমান ওমানের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুধুমাত্র সরকারী হাসপাতালের পক্ষে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, করোনার ক্ষেত্রে ওষুধ থেকে ভেন্টিলেটর এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির অনেক ব্যয়বহুল, এমতাবস্থায় সকল রোগীদের সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে সরকারের।
এদিকে প্রাইভেট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সেবার খরচ কমানোর জন্য দেশটির সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসীরা। একইসাথে চিকিৎসার নামে যেন গলাকাটা মূল্য না নিতে পারে হাঁসপাতাল গুলো সেদিকে সরকারের নজর দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
