বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরপরই দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অসংখ্য ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ধরনের খবর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দাবি করা হয়েছিল যে, শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর হিন্দুরা দলে দলে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
তবে বাস্তবতা অন্য ছবি তুলে ধরে। স্বার্থান্বেষী মহল যেন কোনো অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একযোগে মন্দিরগুলো পাহারা দিয়েছেন। এমনকি এই সত্যের বিপরীতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চক্রান্তও চালানো হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, ভারতীয় সংবাদিকরা এসে স্বয়ং দেখুন যে, হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কোনো হামলা হয়েছে কি না।
হিন্দুদের উপর নির্যাতন এবং তাদের দেশান্তরের তথ্য গুলো মিথ্যা ছিল সেটি স্বীকার করেছেন ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “হিন্দুরা বাংলাদেশে আছেন এবং তারা লড়াই করছেন। গত এক মাসে একজন হিন্দুকেও ভারতে আসার চেষ্টা করতে দেখা যায়নি।
এদিকে, গত মাসে ৩৫ জন মুসলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসামে নয়— তাদের লক্ষ্য ছিল ব্যাঙ্গালুরু, তামিল নাড়ু, কোয়েম্বাটুরে গিয়ে টেক্সটাইল খাতে কাজ করা।”
এর আগে, ছাত্র ও জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ওইদিন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেন তিনি। তার পতনের দিন বাংলাদেশে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। কিন্তু ধর্মীয় কারণে কোথাও হামলার ঘটনা দেখা যায়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
