নিউইয়র্কে অটোশপের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন প্রবাসী এক বাংলাদেশি। গ্রাহক সন্তুষ্টিতে মাত্র চার বছরেই বনে গেছেন মিলিয়ন ডলারের মালিক।
স্বল্প খরচে ভালো সেবা পাওয়ার কথা জানান গ্রাহকরা। এ প্রবাসীর মতে, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি টেকনিশিয়ান হিসেবে সুযোগ রয়েছে বিপুল কর্মসংস্থানের।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটির একটি অটোশপের বাইরে রাস্তার দুপাশে দেখা মিলবে সারি সারি গাড়ি। দেখে যে কারো মনে হতে পারে পার্কিং করে রাখা আছে গাড়িগুলো। কিন্তু বাস্তবে অপেক্ষমাণ মেরামতের জন্য।
লং আইল্যান্ড সিটিতে কয়েক বছর ধরে বিডি অটো রিপেয়ার অ্যান্ড কলিশন নামে একটি গাড়ি সার্ভিস পয়েন্ট গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশি যুবক আলমগীর হোসাইন।
প্রয়োজন আর কম খরচে ভাল সার্ভিস দেয়ায় তিনি মন কেড়েছেন গাড়ি ব্যবহারকারীদের। গ্রাহকরা জানান, স্বল্প খরচে ভালো সেবা পাওয়া যায় আলমগীরের অটোশপে। তাছাড়া মোটরপার্টসও মেলে ন্যায্য দামে।
হোন্ডা থেকে টেসলা, মার্সিডিজ ও টয়োটা এসব বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক নিত্যনতুন মডেলের গাড়ি মেরামত ও রং পরিবর্তন করে নতুনত্ব নিয়ে আসা হয় কারখানাটিতে।
শুধু দক্ষতা নয়, স্বকীয়তা আর মননশীলতা থাকায় আলমগীর নিজের ক্যাশ কাউন্টার সাজিয়েছেন একটি গাড়ির অংশ দিয়েই।
বিডি অটো রিপেয়ার অ্যান্ড কলিশনের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, নিজের ভেবেই প্রতিটি গাড়ি মেরামত করি।
যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন জায়গায় কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ রয়েছে মোটরশপ খাতে। যে কেউ এ পেশায় অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সপ্তাহে আয় করতে পারেন ৬শ থেকে ২ হাজার ডলার।
প্রতিদিন এ অটোশপে ৩০ থেকে ৩৫টি গাড়ির সার্ভিস দেয় ১৮ জন দক্ষ কর্মী। কাজের চাপ বাড়ায় নতুন কর্মসংস্থানের কথা জানালেন আলমগীর হোসাইন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
