আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরে দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে তথ্য দেন, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।
রাজধানী তেহরান থেকে ইসফাহান প্রদেশের দূরত্ব অন্তত সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ, কারণ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো এখানে অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে। আর প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “নির্ভরযোগ্য সূত্রের” কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে সেখানকার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো “পুরোপুরি নিরাপদেই” আছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি
“নির্ভরযোগ্য” সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে বিবিসি আরও জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের আকাশে তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। আর রয়টার্সের বলছে, দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে ওই তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়।
পরে ড্রোন ধ্বংস করার একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিবিসি। ভিডিওটি স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে পাওয়া বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
এদিকে, সাময়িকভাবে ইরানের আকাশে বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর পুনরায় ফ্লাইট চালু করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, তেহরানের ইমাম খামেনেয়ি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় প্রদেশ ইসফাহানে বিস্ফোরণের পর ইরানের বেশিরভাগ অংশে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
