করোনা প্রতিরোধে ওমানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, আইন অমান্যকারির বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে নতুন আইন জারি করেছে দেশটির সুপ্রিম কমিটি। কিন্তু তারপরও কিছু নাগরিক মাস্ক ছাড়াই রাস্তায়, সৈকত ও অন্যান্য সরকারী স্থানে যাতায়াত করছে। আবার অনেকে হাতে বা পকেটে মাস্ক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগ রয়্যাল ওমান পুলিশের।
আবার অনেকে আইন মেনে চললেও দেশটিতে করোনা স্বাভাবিক হয়েছে এই ভেবে মাস্ক ব্যবহার করতে চান না। এ ব্যাপারে ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ বশির আলিকা পারামবিল বলেন, “এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিজস্ব কবর খননের মতো অপরাধ।” ডাঃ বশিরের মতে, মাস্ক মূলত আত্মরক্ষার বিষয়ে নয়। এটি অন্যকে রক্ষা করার বিষয়ে। যে ব্যক্তিরা লক্ষণ ছাড়াই করোনা পজিটিভ হচ্ছে তাদের থেকে রক্ষা পাওয়ার এটা একটি বড় উপায়। শারীরিক দূরত্ব এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি সহ যথাযথ মাস্ক পরিধান করা ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
আরো পড়ুনঃ ঢাকা টু মাস্কাট ফ্লাইটের টিকেট যেভাবে পাবেন
এদিকে রয়েল ওমান পুলিশ জানিয়েছে, মাস্ক না পরার জন্য ১০০ ওমানি রিয়াল জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। ওমানের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করেছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অনুসারে, করোনার সংক্রমণ কমাতে ও নিজেদের জীবন বাঁচাতে ফেইস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তবে একমাত্র মাস্কের ব্যবহার করোনার প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়। গত সপ্তাহে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশনা জারি করেছিল যে, ১২ বছরের বেশি সকল নাগরিকের মাস্ক পরা সবচেয়ে জরুরি। ডাব্লিউিএইচও বলছে, “যে অঞ্চলে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের ফ্যাব্রিক মাস্ক পরানো উচিত। এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা উচিত।
আরো দেখুনঃ এক প্রবাসী রাশেদের কান্নায় কাঁদলেন কোটি মানুষ
https://www.youtube.com/watch?v=Z8ESY2_tqtE&t=88s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
