প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. একরাম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বেবিচক।
জানা যায়, ৮ বছর ধরে কাতারে থাকা মো. রায়হান মল্লিক তার রোজগারের পুরো টাকাই পাঠিয়েছেন দেশে থাকা স্ত্রী শায়লা রায়হানকে। ২৪ বছরের সংসারে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই ছিলেন রায়হান দম্পতি। সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি জানতে পারেন, প্রকৌশলী একরামের সঙ্গে শায়লার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এর জেরে ৩ ফেব্রুয়ারি দুই সন্তানকে ফেলে স্বর্ণালঙ্কারসহ ৯ লক্ষাধিক টাকার মালামালসহ পালিয়ে যায় শায়লা।
এ ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় জিডি এবং বেবিচক চেয়ারম্যানের দপ্তরে অভিযোগ দেন রায়হান। অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে গত ১ মার্চ প্রকৌশলী একরামকে চিঠি দেয় বেবিচক। ৬ মার্চ অভিযোগের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় গত মঙ্গলবার এক অফিস আদেশে বেবিচক জানায়, প্রকৌশলী এমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। এতে কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হয়েছে। বেবিচকের প্রবিধান অনুযায়ী এ ধরনের ‘অসদাচরণ’র জন্য উপসহকারী প্রকৌশলী একরাম হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
প্রবাসী রায়হান জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন তার স্ত্রী শায়লা। স্ত্রীর পরকীয়ায় তার সাজানো সংসারই শুধু ভেঙে যায়নি, নিঃস্ব হয়ে ছোট দুই সন্তান নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে প্রকৌশলী একরাম হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, কারও স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অহেতুক এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
