ইতালিতে কাজের দুয়ার খুললো বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য। এরই মধ্যে ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে শ্রমিক নিতে ডিক্রি বা গ্যাজেট প্রকাশ করেছে দেশটি। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৮৩ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে। কোটার ভিত্তিতে দেশটির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি ফার্ম বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৩টি দেশ থেকে এ বছরের জন্য ৮২ হাজার ৭০৫ জনকে ওয়ার্ক পারমিট দেবে।
এছাড়া, ৪৪ হাজার কোটা মৌসুমি বা সিজনাল কাজের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির শ্রম ও সামাজিক পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে কৃষিখাতে। উক্ত পদক্ষেপটি দেশে শ্রমিক ঘাটতি মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে বলেই দেশটির সরকার নির্দিষ্ট সেক্টরগুলো আবেদনকারীদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে।
এই কোটাগুলো ব্যতীত, ৩৮ হাজার ৭০৫টি কোটা নন-সিজনাল বা স্পন্সর ভিসা যেমন পর্যটন, টেলিযোগাযোগ এবং নির্মাণ খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২৩ সালের জন্য প্রকাশিত সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্থায়ী স্পন্সরের জন্য কর্মক্ষেত্র হলো ১. ভারি যানবাহন চালনা, ২. নির্মাণ, ৩. ট্যুরিজম-হোটেল, ৪. মেকানিকস, ৫. টেলিকমিউনিকেশন, ৬. ফুড এবং ৭. জাহাজ নির্মাণ সেক্টর।
এসব ক্ষেত্র ছাড়াও বিদেশ থেকে মৌসুমী লোক নেবে ইতালি। কৃষি ও পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেবে দেশটি। এ ছাড়া, উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, আর্টিস্টরাও ইতালির ভিসা নিতে পারবেন। এর বাইরেও ভিসা কনভার্ট বা পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন ইতালিতে বসবাসরত বিদেশি শিক্ষার্থী ও কৃষিকাজে আসা পূর্ববর্তী বছরের মৌসুমী শ্রমিকরা।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের ‘দেক্রেতো ফ্লুসিতে’ একটি নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে নন-সিজনাল ভিসা অথবা শ্রমিক ভিসায় আবেদন করবেন, তাদেরকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কর্মসংস্থান কেন্দ্রের অনুমোদন লাগবে। তবে সিজনাল বা মৌসুমি ভিসায় যেতে ইচ্ছুকদের জন্য এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না।
https://www.youtube.com/watch?v=CLkjCco1oa0&t=83s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
