সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুম। ফাজা নামে বেশ পরিচিত তিনি। ৩৪ বছর বয়সী এই যুবরাজ সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে ৫১ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং টুইটারে রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ ফলোয়ার। তার প্রতিদিনের কোটিপতি জীবনধারার আভাস পাওয়া যায় ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা রোমাঞ্চকর ভ্রমণের ছবিগুলোর মাধ্যমে।
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের দ্বিতীয় সন্তান। ২০০৮ সালে তার বড় ভাই থাকা সত্ত্বেও ফাজাকে তার পিতা দুবাইয়ের ক্রাউন-প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করেন। ফাজার বড় ভাই শেখ রশিদ বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ২০১৫ সালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন।
দুবাই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, দুবাই অটিজম সেন্টার এবং দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিলের চেয়্যারম্যান পদে রয়েছেন ফাজা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্টকরা ছবিগুলো দেখে মনে হবে, তাকে আসলে ব্যস্ত রাখছে তার শখ পূরণে। স্কাই ডাইভিং, অশ্বারোহণ, সাইক্লিং, জিপলিং এবং ডাইভিং তার শখের তালিকার কিছু উদাহরণমাত্র। এছাড়াও তিনি দক্ষ ফটোগ্রাফার, বিশ্বভ্রমণকারী এবং কবি। দুবাইয়ের এই যুবরাজ তার বর্ণাঢ্য জীবনযাপন ও রোমাঞ্চকর ভ্রমণের ছবি ইনস্টাগ্রামে ৫১ লাখের বেশি ফলোয়ারের সঙ্গে নিয়মিত শেয়ার করে থাকেন। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে লেখা রয়েছে, ‘প্রতিটি ছবির একটি গল্প থাকে এবং প্রতিটি গল্পের একটি সময় থাকে, যা আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভালোবাসি। ধন্যবাদ এবং উপভোগ করুন।’

যুবরাজ ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন এবং পৃথিবী অন্বেষণে সময় ব্যয় করে থাকেন। তিনি সাধারণত ভ্রমণে বিলাসিতা পছন্দ করেন। তবে তিনি লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিনয়ী। লন্ডন তার ভালোভাবে পরিচিত। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ স্কুল স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারি একাডেমীতে পড়ালেখা করেছেন এবং পরবর্তীতে লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিস্কে পড়ালেখা করেছেন। যুবরাজ দক্ষ ক্রীড়াবিদ, বর্শি দিয়ে মাছ ধরা পছন্দ করেন, সাইক্লিং স্নো বোর্ডিং, টেনিস খেলাও তার শখের তালিকায় রয়েছে। সমুদ্রে ডাইভিং এর পাশাপাশি তিনি একজন সেমি-প্রফেশনাল স্কাই ডাইভার। অশ্বারোহণ তার পছন্দ। ২০১৫ সালে তিনি শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এন্ডরেন্স কাপ প্রতিযোগিতায় ১৬০ কিলোমিটার ঘোড়া সওয়ার যাত্রায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। দানবীর হিসেবেও বেশ খ্যাতি রয়েছে তার। মানুষের বিপদে দুহাত উজাড় করে দেন। সম্প্রতি দুবাইতে এক পাকিস্তানি প্রবাসীর ভালো কাজের জন্য তার সাথে দেখা করেন এই প্রিন্স। একইসাথে উক্ত প্রবাসীকে পুরস্কৃত করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান।
আরো পড়ুন:
ব্ল্যাক আউট ওমান, চরম দুর্ভোগে মানুষ
অর্থবছরের শুরুতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে প্রবাসী আয়
কুয়েতে নতুন নির্দেশনা অমান্য করলে গুনতে হবে জরিমানা
বিমানবন্দরে আর ট্রলির সমস্যা হবে না, জানালেন বিমান প্রতিমন্ত্রী
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
