মৃত্যু উপত্যকার ধূধূ প্রান্তরে একাই চলে বেড়ায় বিশাল বিশাল পাথর। এ রহস্য বহুদিন ধরে মানুষকে অবাক করে রেখেছে। কোনও মানুষ নেই। নেই কোনও পশুপাখি। তবু একা একাই প্রান্তর জুড়ে ঘুরে বেড়ায় বিশাল বিশাল পাথর। যেখানে সেই পাথর ছিল ৩ বছর পর গেলে সেখানে সেই পাথরের দেখা মেলেনা। পাথর কোথায় গেল তা খুঁজে পেতেও অবশ্য সময় লাগেনা। ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজির পাথর নিজের মত হেঁটে বেড়ায় এখানে। আর সে কোথায় আছে তা জানান দেয় মাটির ওপর টানা লম্বা দাগ। যা তৈরি হয় পাথরের ঘর্ষণে।

পাথরটিকে পাওয়া যায় ওই দাগ ধরে এগোতে থাকলে। ওই দাগ যেখানে শেষ হয় সেখানেই ফের সেই পাথরকে দেখতে পাওয়া যায়। আর এই দাগ সহজে মেলায়ও না। বরং থাকে একাধিক বছর। এ রহস্য মৃত্যু উপত্যকার এক ভূতুড়ে কাহিনী হয়ে মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। কিন্তু এটা যে ঘটে তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। একটা নয়, এমন অনেক বড় বড় প্রস্তরখণ্ড এভাবেই মৃত্যু উপত্যকার এদিকে ওদিক ঘুরে বেড়ায়।
তার ঘর্ষণের দাগ দেখে মনে হয় কেউ যেন সেটাকে মাটির ওপর দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেছে। কিন্তু এখানে কোনও প্রাণী আসেনা, থাকেনা। কারণ এখানে থাকা মানে মৃত্যুকে আহ্বান জানানো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মৃত্যু উপত্যকা বা ডেথ ভ্যালির কথা বললে এখনও মানুষ সেদিকটা এড়িয়ে চলেন। এক সময় শুকনো উষ্ণ ধূধূ প্রান্তরের উপত্যকার ওপর দিয়ে কয়েকজন উল্টোদিকের সোনার খনি পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশি দূর এগোতে পারেননি। তার মধ্যেই তাঁদের ১ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিকূল আবহাওয়া তাঁদের ভগ্ন দেহে ফেরত যেতে বাধ্য করে।

তারপর থেকেই এই পাণ্ডববর্জিত স্থানের নাম হয় মৃত্যু উপত্যকা। যেখানে কোনও মানুষ যান না, থাকে না কোনও পশু, পাখি। সেখানে পাথর টেনে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। তবু পাথররা ঘুরে বেড়ায় এখানে ওখানে। এর নানা কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়েছে। কারও মতে হাওয়ার ধাক্কায় এমনটা হয়। পাথর মাটিতে ঘর্ষণ হতে থাকে। কিন্তু ওই বিশাল ওজনের পাথরকে ঝড়ও নড়াতে পারবে না। এটা পরিষ্কার। তাহলে কীভাবে তা সম্ভব! কারও মতে, এখানে যখন বরফ পড়ে তখন বরফে মুড়ে গিয়ে পিচ্ছিল হয় পাথর। তাতে ঘর্ষণের ফলে এমন দাগ হয়ে থাকে। যদিও তা বিশেষ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেননা বিজ্ঞানীদের একাংশ।
আরো পড়ুন:
ব্ল্যাক আউট ওমান, চরম দুর্ভোগে মানুষ
অর্থবছরের শুরুতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে প্রবাসী আয়
কুয়েতে নতুন নির্দেশনা অমান্য করলে গুনতে হবে জরিমানা
বিমানবন্দরে আর ট্রলির সমস্যা হবে না, জানালেন বিমান প্রতিমন্ত্রী
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
