দেখতে দেখতে ঘনিয়ে আসছে সময়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ওমানে শুরু হবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। তাতে অংশ নিতে ৩ অক্টোবর ওমান যাবে টাইগাররা। অনেকের মনেই আছে প্রশ্ন, করোনার এই বিধিনিষেধের সময় ওমানে গিয়ে কতদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে রিয়াদ-সাকিব-মুশফিকদের? ওমানপর্ব শেষে আরব আমিরাত গিয়েও কি আবার কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে? যদি হয়, সেটা কতদিনের?
এসব কৌতুহলি প্রশ্ন আছে অনেক টাইগার ভক্তের মনেই। বিসিবি প্রধান চিকিৎসক তথা মেডিক্যাল কমিটি প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী এ কৌতুহলের জবাব দিয়েছেন। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে আইসিসি কি কি শর্ত পূরণ করতে বলেছে? দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে, এখান থেকে করোনা নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।’
এরপর ওমানে গিয়ে অবশ্য আর কোয়ারেন্টাইনে থাকার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘ওমানে আমরা যতটুকু জানি ২৪ ঘন্টার একটা কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা আছে।’ এতো গেল ৩ অক্টোবর ওমান যাত্রার আগে ও যাওয়ার পরের করণীয়। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সময় কতদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে? সেখানে যাওয়ার আগে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা ও চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণের বিষয়ে কোনোরকম বাধ্যবাধকতা আছে কি না?
জানতে চাওয়া হলে ড. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আইসিসি সব প্রতিযোগী দলের জন্য ৬ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা জানিয়েছে। বাবলে থাকা দলগুলো যদি চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণ করে তবে কোয়ারেন্টাইন শিথিলেরও সুযোগ থাকবে।’ দেবাশীষ যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে ৬ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা আইসিসি আপাতত সবাইকে দিচ্ছে। যে দলগুলো বাবলের মধ্যেই আছে, তারা যদি চ্যাটার্ড ফ্লাইট ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে তাদের ৬ দিনের কোয়ারেন্টাইন মওকুফ হবে। তবে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা আমরা এখনও হাতে পাইনি। আশা করছি আগামী ২-১ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা জানতে পারব।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
