ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। ৩০ বছর বয়সী এই তরুণ যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডধারী হলেও মাসখানেক আগে তাকে আটক করে লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, গাজা যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি প্রশাসনের নজরে আসেন।
মাহমুদ খলিলের বিরুদ্ধে যে অভিবাসন আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি মূলত স্নায়ুযুদ্ধকালীন একটি পুরনো আইন। সেখানে বলা হয়েছে, তার উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী। যদিও তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই, তবুও কেবল রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কারণে তাকে টার্গেট করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাহমুদের মুক্তির দাবিতে জনমত গড়ে উঠলেও, বিচারক আপিল করার জন্য তার আইনজীবীদের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা এসিএলইউ এই রায়কে ‘পূর্বনির্ধারিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং বলেছে, আদালতে যে তথাকথিত প্রমাণ পেশ করা হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দাখিলকৃত নথির মধ্যে কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর একটি চিঠি ছিল, যেখানে বলা হয়েছে, ইহুদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্মবিদ্বেষ বা সহিংসতার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
এদিকে মাহমুদ খলিল নিউ জার্সির একটি ফেডারেল আদালতে তার গ্রেফতারকে সংবিধানবিরোধী দাবি করে আরেকটি মামলা করেছেন। যদি তিনি এই মামলায় জয়ী হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার বহিষ্কার ঠেকানো সম্ভব হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
