ওমানের রেসিডেন্সি/প্রবাসী আইনের ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশটিতে প্রবাসী শ্রমিকরা অবাধে নিজেদের চাকরী পরিবর্তন করতে পারবেন। সম্প্রতি এই আইনটির বিষয়ে কঠোর আপত্তি তুলেছে ওমানি ব্যবসায়িক মালিকরা।
বৈদেশিক রেসিডেন্সি আইনের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, প্রবাসীদের ওমানে দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা না হওয়া পর্যন্ত তাকে কর্মসংস্থান ভিসা দেওয়া যাবে না। ওমানে কর্মরত থাকলেও যে কোনো প্রবাসী কর্মচারীর দু’বছরের মধ্যে যে কোনও সময় একই নিয়োগকর্তার কাছে ফিরে আসতে পারেন বা তিনি নতুন কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন। তবে শর্ত হলো যে সেই কর্মচারীকে অবশ্যই সর্বশেষ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে এনওসি (অনাপত্তি ছাড়পত্র) নিতে হবে।
তবে এই আইনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওমানের ব্যবসায়ীরা। ওমানি ব্যবসায়ীদের দাবী, রেসিডেন্সি আইনের অনুচ্ছেদ ১১’র ধারা বাতিল না করলে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি কর্মসংস্থানের উপর প্রভাব পড়বে। যা সর্বোপরি দেশটির জনসংখ্যার উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, ওমানে প্রবাসীরা কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তার মধ্যে মামলা ও বিবাদের পরিমাণ বেড়ে যাবে দেশটিতে। এছাড়াও বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীলতার হারও কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধারা বাতিল করলে দেশটিতে ব্যবসায়ের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলেও মনে করেন ওমানি ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আল বাতিনা অঞ্চলের ওমান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান হাম্মুদ বিন সালেম আল সাদি বলেন, অনুচ্ছেদ (১১) বাতিল করা হলে দেশটিতে অর্থনৈতিক ভারসাম্যে নষ্ট হবে। কারণ বেসরকারি খাতে এই আইনের কারণে উৎপাদনশীলতার হারকে কমিয়ে দেবে বিশেষত যোগ্য এবং প্রশিক্ষিত প্রবাসী কর্মীদের কারণে এই হার কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
দক্ষিণ আল বাতিনাহ’র ওমান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য বলেছেন যে, বিদেশিদের রেসিডেন্স আইন ১১ অনুচ্ছেদটি গোপন বাণিজ্যের বিস্তারকে সীমাবদ্ধ রাখতে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখে। নতুন সিদ্ধান্তটি নেতিবাচক ভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে প্রভাবিত করবে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ওমান প্রবাসীরা প্রতিযোগিতায় অংশে নিয়ে জিতে নিন লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার!
আল বাদ্রি লজিস্টিক কোম্পানির মালিক বলেন, “১১ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হচ্ছে মূলত প্রবাসী শ্রমিকদের বেশি বেতনের কারণে। দেশটিতে কর্মরত প্রবাসীদের বেশি বেতনের কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই এই সমস্যা থেকে বের হতেই মূলত নতুন আইনটি বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছে ওমানি ব্যবসায়ীরা।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
