“আমার কাছে কিছু ওমানি মুদ্রা আছে, অর্ধেক দামে বিক্রি করব” – এই ধরনের লোভনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জয়নাল আবেদীন, জাহান হোসেন, এয়ার হোসেন ও মিজানুর রহমান। সোমবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, প্রতারণার শিকার মেজবাউল আলম নামে সানমার ওশান সিটির একটি দোকানের এক বিক্রয়কর্মীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। মেজবাউল দোকানের ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার পথে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ২৯ হাজার টাকা এবং ঘটনায় ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করেছে।
মামলার বিবরণে ওসি জানান, গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি মেজবাউল আলম দোকানের টাকা জমা দেওয়ার জন্য জিইসি মোড়ে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়া শাখায় যাচ্ছিলেন। তিনি যখন জিইসি এলিট পেইন্টের সামনে পৌঁছান, তখন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক তাকে জানান যে তার কাছে কিছু ওমানি মুদ্রা আছে, যা তিনি অর্ধেক দামে বিক্রি করতে চান। প্রথমে আগ্রহ না দেখালেও, পরে আগ্রাবাদে গিয়ে মুদ্রাগুলো বিক্রির কথা বলেন মেজবাউল। সেখানে আগে থেকেই অটোরিকশা চালকের কয়েকজন সহযোগী ছদ্মবেশে অপেক্ষা করছিল। তারা দ্রুত যাত্রী সেজে মুদ্রা কেনার জন্য অটোরিকশা চালককে তাড়া দিতে শুরু করে।
অটোরিকশা চালক তখন অর্ধেক দামে মুদ্রা বিক্রির প্রস্তাব দিলে যাত্রীবেশী সহযোগীরা তাতে উৎসাহ যোগায়। পরিস্থিতি প্রতারণার অনুকূলে গেলে, একপর্যায়ে প্রতারক চক্রটি ১৮১টি ওমানি মুদ্রা (পয়সা) ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রয়কর্মীর কাছে বিক্রি করে। পরে মেজবাউল জানতে পারেন যে ওমানি এক বাইসার (পয়সা) বিনিময়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় মূল্য খুবই সামান্য। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অবিলম্বেই পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই বিক্রয়কর্মী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
