মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মী সরবরাহকারী ৫ বাংলাদেশি ও এক পাকিস্তানি অবৈধ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। বুধবার (৫ মার্চ) ক্লাং উপত্যকার আশেপাশে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিন সপ্তাহ ধরে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুয়ালালামপুরের তামান কেমুনিং উটামা, শাহ আলম, তামান পান্ডান চাহায়া, আমপাং এবং জালান দাতুক ইউসফ-এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ছয় বিদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে পরিচালক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন নিয়োগকর্তাও রয়েছে। অভিযানে তার দল ৩৯৪ কপি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ছয়টি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট, দুটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নয়টি পাকিস্তানি পাসপোর্ট, একটি ফিলিপাইনের পাসপোর্ট জব্দ করেছে। এ ছাড়াও তিনটি মোবাইল ফোন, একটি কোম্পানির স্ট্যাম্প এবং নগদ ১২ হাজার ৫৫০ রিঙ্গিত এবং একটি হোন্ডা ইনসাইট হাইব্রিড গাড়িও জব্দ করা হয়।
তার মতে, সিন্ডিকেটটি এক বছর ধরে কাজ করছে এবং বিদেশি কর্মী কোটার জন্য আবেদন না করে কালো তালিকাভুক্ত নিয়োগকর্তাদের কাছে কর্মী সরবরাহ করার একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছিল। তারা প্রতিটি কর্মীর জন্য প্রতি বছর ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ রিঙ্গিত হারে বর্ধিত অস্থায়ী কর্ম পরিদর্শন পাস পরিষেবাও অফার করে।
জাকারিয়া আরও বলেন, আরও তদন্তে দেখা গেছে, একজনের বৈধ পাস ছিল, একজনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, দুজন ব্যক্তি পাসের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন, অন্য দুজনের কাছে কোনও বৈধ ভ্রমণ নথি ছিল না। গ্রেফতারদেরকে আরও তদন্তের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
