নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি আনলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের প্রাক্কালে এই ক্রিপ্টোমুদ্রা চালু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ফার্স্ট লেডি। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে এভাবেই নিজের ক্রিপ্টোমুদ্রা চালুর পর উল্লাস প্রকাশ করেন তিনি। ‘অফিসিয়াল মেলানিয়া মিম’-এর ওয়েবসাইটটি বলেছে, সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি ও ট্র্যাক করা একটি ক্রিপ্টো সম্পদ এই মেলানিয়া মুদ্রা।
অন্যদিকে শপথের একদিন আগেই নিজের নামে ‘ট্রাম্প’ ক্রিপ্টোমুদ্রা চালু করেছেন ট্রাম্প। ‘কয়েনমার্কেটক্যাপডটকম’-এর তথ্য বলছে, গত শনিবার বিকেল নাগাদ ট্রাম্প মুদ্রার বাজার মূলধন পৌঁছেছে প্রায় ৫৫০ কোটি ডলারে। বিবিসি বলছে, ট্রাম্প ক্রিপ্টোমুদ্রার বাজার মূলধন দ্রুত কয়েক শত কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
এই ক্রিপ্টোমুদ্রা চালুর উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’-এর সহযোগী ‘সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি’ এর সমন্বয়ে। ‘সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি’ ও ‘ফাইট ফাইট এলএলসি’ মিলে এ মাসের শুরুতে ‘ডেলাওয়্যার’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে। ট্রাম্প ক্রিপ্টোমুদ্রার ৮০ শতাংশের মালিক এই কোম্পানিটি। এই ক্রিপ্টোমুদ্রার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রায় ২০ কোটি ডিজিটাল টোকেন ইস্যু করেছে তারা এবং আগামী তিন বছরে আরও ৮০ কোটি টোকেন ছাড়বে কোম্পানিটি।
এদিকে, ট্রাম্প ও মেলানিয়া উভয় কয়েনের ওয়েবসাইট দাবি করেছে, এসব ক্রিপ্টোমুদ্রা ‘বিনিয়োগ বা সম্পদ সুরক্ষার উপায় হওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি নয়’। এর আগে ক্রিপ্টোমুদ্রাকে ‘কেলেঙ্কারি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় ডিজিটাল সম্পদকে অনুদান হিসাবে গ্রহণ করা প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। গত বছর ন্যাশভিলের এক বিটকয়েন সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি ওয়াশিংটনে ফিরে আসার পরে আমেরিকা হবে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
