মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে ‘অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি’নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করে দেশটির সরকার। যার মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। তবে, এই সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির জন্য অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে যে সকল অভিবাসী নাম নিবন্ধন করেছে এবং কোনো কারণবশত এখনও পর্যন্ত ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিভাগে উপস্থিত হতে পারেনি এমন বিদেশি নাগরিকদের জন্য চলতি বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচির মেয়াদ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয় যে, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে ‘অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি’ নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করে দেশটির সরকার। যার মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর।
তবে এ সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির জন্য অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে যে সব অভিবাসী নাম নিবন্ধন করেছেন এবং কোনো কারণবশত এখনও পর্যন্ত ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিভাগে উপস্থিত হতে পারেননি; এমন বিদেশি নাগরিকদের জন্য চলতি বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত এ কর্মসূচির মেয়াদ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে সব অবৈধ অভিবাসী অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করেছেন অথচ কোনো কারণে ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিভাগে উপস্থিত হতে পারেননি শুধুমাত্র সে সকল অবৈধ অভিবাসীদের এ সুবিধা দেয়া হলো। এ সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
এ কর্মসূচির আওতায় কোনো রকম নথিপত্র ছাড়া মালয়েশিয়া প্রবেশ করে থাকলে, তাদের ৫০০ রিঙ্গিত আর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি এমন অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জরিমানা দিতে হবে ৩০০ রিঙ্গিত।
তবে যাদের আটক অথবা রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে এবং যাদের সাজা দেয়া হচ্ছে তারা এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের যোগ্য হবে না বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
অবৈধ অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে হলে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করে ইমিগ্রেশন অফিসে তাদের ফ্লাইট টিকিট, বৈধ ভ্রমণ নথি (পাসপোর্ট), পাসপোর্ট না থাকলে স্ব স্ব দেশের দূতাবাস থেকে ইস্যু করা ট্রাভেল পারমিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর পর অভিবাসীদের ১৪ দিনের মধ্যে দেশত্যাগ করতে হবে।
জরিমানা (কম্পাউন্ড) পরিশোধের জন্য সরকার কোনো এজেন্ট নিয়োগ করেনি। শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা টাচ এন গো ই-ওয়ালেটের মতো ইলেকট্রনিক পেমেন্ট মোডগুলোর মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
