প্রথমবারের মতো পদ্মাসেতু হয়ে খুলনা থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে দ্রুতগামী ট্রেন জাহানাবাদ এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে ঐতিহাসিক যাত্রার সূচনা করে। খুলনা রেলস্টেশন থেকে সকাল ৬টায় যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
নতুন রুটে যাত্রার ফলে খুলনা থেকে ঢাকার দূরত্ব কমে গেছে ২১২ কিলোমিটার, যা ভ্রমণ সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। এ রুটে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করবে নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন এবং ভাঙ্গা জংশনে।
জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ১১টায় ঢাকার কমলাপুর থেকে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি যশোরের বেনাপোলে পৌঁছাবে দুপুর আড়াইটায়। বিকাল ৩টায় আবার বেনাপোল থেকে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে। এরপর রাত ৮টায় জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনার পথে রওনা দেবে এবং পৌঁছাবে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে।
নতুন এই রুটে ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে:
- শোভন চেয়ার: ৪৪৫ টাকা
- স্নিগ্ধা: ৭৪০ টাকা
- এসি সিট: ৮৮৫ টাকা
- এসি বার্থ: ১,৩৩০ টাকা।
যাত্রীরা আশা করছেন, ভাড়া কিছুটা কমানো হলে এবং ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো হলে এই রুটটি আরও জনপ্রিয় হবে।
যাত্রীরা এই দ্রুতগামী ও স্বল্প খরচের ট্রেন যাত্রায় সন্তুষ্ট। দূরত্ব কমে যাওয়ায় যাতায়াতে সময় বাঁচছে, যা যাত্রীদের জন্য বড় স্বস্তি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেছেন, “জনগণের কল্যাণে এই রেল সেবা চালু করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ রুটে নতুন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।”
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস চালক আব্দুল হাকিম জানিয়েছেন, “নতুন রুটের কারণে সময় সাশ্রয় হচ্ছে, যা যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা।”
এই রুটে সপ্তাহে ছয়দিন চলবে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস এবং রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস। ১২টি বগি নিয়ে ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ৭৬৮টি।
খুলনা-ঢাকা রুটে এই নতুন ট্রেন সার্ভিস জনসাধারণের যাতায়াত সহজ করতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সময় ও খরচের দিক থেকে এই রুটটি যাত্রীদের কাছে শীঘ্রই আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
