সৌদি আরবের আকাশে আজ রোববার মাহে রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামীকাল ১২ এপ্রিল ৩০ দিন পূর্ণ হবে শাবান মাসের। অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার থেকে সৌদি আরবে শুরু হবে মাহে রমজান। রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক খালিজ টাইমসের এক প্রতিবদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি রোববার সন্ধ্যায় দেশটির কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, মিসর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হবে। সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ পালন হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরদিনই।
খালিজ টাইমস বলছে, খালি চোখে চাঁদ দেখার জন্য রোববার সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। চাঁদ দেখা না যাওয়ায় চাঁদ দেখা কমিটি মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) থেকে রোজা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট দেশের সব মানুষকে দেশের যেকোনো স্থানে থেকে চাঁদ দেখার জন্য আহ্বান জানান। যদি কেউ চাঁদ দেখতে পান তাহলে নিকটস্থ যে কোনো আদালতে গিয়ে তা জানানোর অনুরোধও করা হয়।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি রোববার সন্ধ্যায় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, আগামী ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দেশটিতে প্রথম রমজান পালিত হবে। রোববার রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সেই অনুযায়ী, আরবি ১৪৪২ হিজরির শাবান মাস শেষ হবে সোমবার ( ১২ এপ্রিল )।
ইসলামের অন্যতম এক স্তম্ভ পবিত্র রমজান মাস। প্রত্যেক বছর অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বে পবিত্র এই মাস পালন করা হয়। এক মাস সংযম পালনের পর মুসলমানরা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।
এদিকে ওমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আসন্ন রমজানে তারাবির নামাজ বাড়িতে পড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রমজানে তারাবির নামাজ পরিবারের সদস্যদের সাথে বা বাড়িতে আদায় করা যেতে পারে।
বিশ্বের অনেক দেশ তারাবির নামাজ বাড়িতে পড়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাই করোনা মহামারি রোধে গত বছরের ন্যায় এবছরও ওমানে মসজিদে তারাবীহ নামাজ পড়ার কোনো অনুমতি নেই। তারাবি এবং তাহাজ্জুদের নামাজ মসজিদের পরিবর্তে ঘরে পরতে অনুরোধ জানিয়েছে ওমানের ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক প্রবীণ কর্মকর্তা বলেন, “ফরজ নামাজ ব্যতীত সুন্নত এবং নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম।” তিনি আরো বলেন, রমজানের চাঁদ দেখার পর তারাবি পরতে হবে। এ ছাড়াও পবিত্র রমজান মাসে কুরআন তেলাওয়াত থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করার সুযোগ রয়েছে। তারাবীহ নামাজ ফরজ নামাজের মতো বাধ্যতামূলক নয়। এই নামাজ কাযা হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।”
তিনি আরো বলেন, “হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবীহ নামাজ স্বল্প সময়ের জন্য জামাতে আদায় করতেন এবং পরে তিনি ঘরে বসেই এই ইবাদত করতেন। তবে পরবর্তীতে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা:) সময় বিশ রাকাত তারাবীহ নামাজ জামাতে পরা শুরু হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
